স্বদেশ ডেস্ক:
রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে দাবদাহ বয়ে যাচ্ছিল। এই তাপপ্রবাহের মধ্যেই আজ বৃস্পতিবার বিকেলে স্বস্তির বৃষ্টির দেখা পেল দেশবাসী। সঙ্গে ছিল কালবৈশাখী ঝড়। ঝড়-বৃষ্টির সময় বজ্রপাতে দেশের বিভিন্ন স্থানে ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এর মধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জে দুজন, সাতক্ষীরায় দুজন, যশোর, মেহেরপুর, রাজবাড়ী ও ঝিনাইদহে একজন করে মৃত্যু হয়েছে। আমাদের সময়র প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর:
চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, জেলার শিবগঞ্জ উপজেলায় আমবাগানে কাজ করার সময় বজ্রপাতে দুই শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দুজন। আজ দুপুর সোয়া ১টায় শিবগঞ্জ উপজেলার শ্যামপুর ইউনিয়নের মাস্তান বাজার এলাকার এই ঘটনা ঘটে। মারা যাওয়া ব্যক্তিরা হলেন শিবগঞ্জ উপজেলার শ্যামপুর ইউনিয়নের গোপালনগর গ্রামের মো. শাহিন ও একই ইউনিয়নের শরৎনগর গ্রামের মো. অসিম। আহতরা হলেন শিবগঞ্জ উপজেলার শ্যামপুর ইউনিয়নের লাছমানপুর গ্রামের মো. নয়ন আলী ও গোপালনগর গ্রামের মো. সারোয়ার হোসেন।
শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আবুল হায়াত বলেন, ‘আমবাগানে বজ্রপাতে দুই শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। আমরা ঘটনাটির খোঁজ রাখছি। নিহত ও আহতদের বিষয়ে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহায়তা করা হবে।’
রাজবাড়ী প্রতিনিধি জানান, রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে বজ্রপাতে শহিদুল ইসলাম (৩২) নামের এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। আজ বিকেলে উপজেলার হামিদ মৃধার হাট এলাকায় জমিতে কাজ করার সময় এ ঘটনা ঘটে। তিনি গোয়ালন্দ উপজেলার চর দৌলতদিয়া খালেক মৃধার পাড়ার জামাল মৃধার ছেলে।
গোয়ালন্দ হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. শরিফুল ইসলাম বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই ওই কৃষকের মৃত্যু হয়েছে।
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি জানান, সদর উপজেলা মধুহাটী ইউনিয়নের কুবিরখালী গ্রামে বজ্রপাতে সুজন হোসেন (৩৫) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। সুজন হোসেন ওই গ্রামের রমিজ উদ্দীনের ছেলে।
এলাকাবাসীর বরাত দিয়ে ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ সোহেল রানা জানান, বিকেলে কৃষি কাজ করতে মাঠে যায় সুজন হোসেন। কিছুক্ষণের মধ্যে বৃষ্টি শুরু হয়। এসময় বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি জানান, যশোরের শার্শায় মাঠ থেকে ধান তোলার সময় বজ্রপাতে কামরুল ইসলাম (৩৫) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার পাঁচ কায়বা গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে। কামরুল ইসলাম ওই গ্রামের বাসিন্দা।
স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার বিকেলে কামরুল ইসলাম জমি থেকে ধান তোলার জন্য মাঠে যান। এসময় বৃষ্টি শুরু হলে হঠাৎ বজ্রপাতে তিনি গুরুতর আহত হন। পরবর্তীতে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গেলে তিনি তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি জানান, সদর উপজেলার বিহারীনগর গ্রামে বজ্রপাতে আব্দুল্লাহ মোল্যা (৩৪) নামের এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। আব্দুল্লাহ মোল্যা ওই গ্রামের মৃত অহেদ বকসের ছেলে।
সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জিহাদ ফকরুল আলম খান জানান, বিকেলে আব্দুল্লাহ মাঠে ধান কাটছিলেন। হঠাৎ ঝড় বৃষ্টি শুরু হলে তিনি বাড়ি ফিরে আসেন। এ সময় তিনি উঠানে পৌঁছানো মাত্রই বাজ পড়লে (বজ্রপাত হলে) ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।